জামালগঞ্জ থানায় লোক বসতি ছিল খুবই কম। অত্র এলাকা একমাত্র ভীমখালি ও সাচনা বাজার ইউনিয়নের উত্তর পূর্বাংশ ছিল কিঞ্চিৎ ঘনবসতিপূর্ণ। অবশিষ্ট ভূ-ভাগের প্রায় চৌদ্দ আনা অংশে হংস ডিম্বের ন্যায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল মুষ্টিমেয় ক’টি গ্রাম। উক্ত জলভাসা ছোট ছোট গ্রাম গুলোতে বর্ষার দিনে হাট বাজারের চাহিদা পুরণ করতো আজমিরীগঞ্জ ও ভৈরবের ব্যবসায়ী নৌকা সমূহ। কার্তিক মাসে গ্রামের অধিকাংশ লোক গ্রামের ধনাঢ্য ব্যক্তির বড় পাতাম নৌকায় করে লেপশিয়া বা মোহন বাজার থেকে করে নিতো ছ’মাসের বাজার। তাড়াছা গুড়, তৈল, পিয়াজ, রসুন, হলুদ, মরিচ, ইত্যাদি অনেক নিত্য ব্যবহার্য জিনিষপত্র বড় নৌকায় করে নিয়ে আসতো ধান্য খাটার দক্ষিণা বেপারীগণ। এমনিভাবে জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়ন বাসী হাট বাজারের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল অতীতকাল থেকেই। সঙ্গত কারণেই এবং নিম্নাঞ্চল বিধায় এ এলাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উঠেনি গড়ে। তাপরও দুাট প্রাচীন বাজার জামালগঞ্জ থানায় ঐতিত্যের সৃষ্টি করেছে তার মধ্য ভীমখালি বাজারই প্রাচীনতম।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস